বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ৭ টি মুসলিম দেশের সামরিকশক্তি
২য় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট অঞ্চলগুলো পশ্চিমাদের গিনিপিগে পরিণত হয়েছে৷ পরাশক্তি দেশগুলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট অঞ্চলে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো নতুন নতুন রাষ্ট্রের জন্ম দেওয়া, ভুমিদখল, উচ্ছেদ, সীমানা পরিবর্তন গণহত্যা এসব চালাতে থাকে৷ ফলে মুলসিমরা পৃথিবী জুড়েই সবথেকে নির্যাতিত জাতিতে পরিণত হয়৷ এছাড়াও সামরিক অঙ্গনে মুসলিমরা ঠাট্টা বিদ্রুপের পাত্রে পরিণত হয়৷ তবে সাম্প্রতিক কয়েক দশকে মুসলিমরা ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে৷ বর্তমানে একাধিক মুসলিম দেশ নিজস্ব প্রযুক্তিতে মিসাইল, ট্যাংক, যুদ্ধ বিমান সবই তৈরী করছে৷ এমনকি পারমানবিক বোমার মালিকও হয়েছে৷ আমেরিকা, ন্যাটো কিংবা রাশিয়ার মতো পরাশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে৷ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এবং নৌপথ এখন মুসলিমদের দখলে৷ আর এসব মিলিয়ে মুসলিম দেশগুলো বিশ্ব রাজনীতি এবং সামরিক অঙ্গনে বিশাল ফ্যাক্টর৷ আমাদের আজকের ভিডিওটিতে বর্তমান সময়ের সবথেকে শক্তিশালী ৭টি মুসলিম দেশের শক্তিমত্তা এবং প্রভাব তুলে ধরবো৷ শুরুতেই বলে রাখছি, তালিকাটি কেবল মাত্র অস্ত্রশস্ত্রে উপর তৈরী করা হয়নি৷ বরং আঞ্চলিক এবং বিশ্বরাজনীতিতে এসব রাষ্ট্রের প্রভাবও এখানে বিবেচনায় রাখা হয়েছে৷ তাই বিভ্রান্ত না হয়ে সম্পূর্ণ ভিডিও দেখুন৷ আর অনেক তথ্য দেওয়ার কারনে ভিডিওটি একটু বড় হয়েছে৷ তাই অনুরোধ করছি, বিরক্তবোধ না করে বরং ভিডিওটির শেষ পর্যন্ত দেখে আপনাদের মতামতা জানানোর জন্য৷
ইন্দোনেশিয়
তালিকার ৭ নাম্বারে আছে জনসংখ্যায় বিশ্বের সবথেকে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া৷ ৮ সাগর এবং দুই মহাসাগর জুড়ে বিস্তৃত বিশাল দেশ ইন্দোনেশিয়া ভৌগলিক কারনে সামরিক এবং বাণিজ্যিক সব দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ৷ আয়তনে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বে ১৪তম হলেও ৭ হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত হওয়ায় দেশটির বিস্তৃতি আমেরিকা কিংবা চীনের মতোই বিশাল৷ যার কারনে ইন্দোনেশিয়ার সামরিকশক্তিও গুরুত্বপূর্ণ৷ গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ২০২০ সালের রেংকিং অনুযায়ী ইসরায়েল, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশকে পিছনে ফেলে ইন্দোননেশিয়ার অবস্থান ১৬তম তে৷ ৪ লাখ একটিভ এবং ৪ লাখ রিজার্ভ মিলে ইন্দোনেশিয়া কাছে মোট সৈন্য আছে ৮ লাখের উপরে! সামরিক বাহিনীর পিছনে ব্যয় করে ৯.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ দেশটি আমেরিকা, রাশিয়া, তুরস্ক এবং ইউরোপ সবখান থেকেই ট্যাংক যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ কিনে থাকে৷ ইন্দোনেশিয়ার প্রধান ট্যাংকগুলো হচ্ছে জার্মানির তৈরী লিওপার্ড 2 মেইনব্যাটল ট্যাংক৷ বিমান বাহিনীতে থাকা প্রধান ফাইটার বিমানগুলো হচ্ছে রাশিয়ার তৈরী সুখোই Su 30, Su 27 এবং আমেরিকার তৈরী F 16 ফ্যালকোন৷ এ্যাটাক হেলিকপ্টার হিসেবে রাশিয়ার তৈরী Mi 35 এবং আমেরিকার তৈরী এ্যাপাচি রয়েছে৷ ইন্ডোনেশিয়ার নৌবাহিনীতে দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরী শক্তিশালী চ্যাং বোগো ক্লাস এবং জার্মানির তৈরী Type 209 ক্লাস এ্যাটাক সাবমেরিন রয়েছে৷ তাদের অন্যন্য যুদ্ধজাহাজ, বিশেষ করে ফ্রিগেই এবং করভেটগুলো নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেন এবং জার্মানির তৈরী৷ এক কথায় ইন্দোনেশিয়ার সামরিকবাহিনী এশিয়া ইউরোপ এবং আমেরিকার ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত৷
আলজেরিয়া
আলজেরিয়াকে বলা যেতে পারে মুসলিম বিশ্বের ভবিষ্যত পরাশক্তি৷ বিশাল ভুখন্ড আর তেল গ্যাসের ভান্ডার এই দেশটি খুব নিশ্চুপভাবেই দ্রুত গতিতে সামরিকশক্তি বাড়িয়ে চলেছে৷ বছরে ১৩ বিলিয়ন ডলারের মোটা অংকের অর্থ তারা সামরিক বাহিনীর পিছনে ব্যয় করছে৷ আলজেরিয়ার সামরিক বাহিনীকে বলা হয় আরব বিশ্ব এবং আফ্রিকার সবথেকে দক্ষ এবং পেশাদার বাহিনী৷ ১ লাখ ৩০ হাজার এক্টিভ এবং ১ লাখ ৫০ হাজার রিজার্ভ মিলে প্রায় ৩ লাখের কাছাকাছি সৈন্য আছে আলজেরিয়ার হাতে৷ এছাড়াও আলজেরিয়ার প্রতিটা নাগরিকের জন্য সামরিক ট্রেনিং নেওয়া বাধ্যমূলক৷ আলজেরিয়ার সামরিকবাহিনীর রাশিয়ান অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত৷ প্রায় ৬শর মতো রাশিয়ার সর্বাধুনিক T 90 ট্যাংক আছে আলজেরিয়ার হাতে৷ এছাড়াও সাড়ে ৪শ T 72, ৩শ T 62 এবং আরও ৩শ T 55 ট্যাংক আছে তাদের বহরে৷ আলজেরিয়ার বিমান বাহিনীর প্রধান ফাইটারগুলো হচ্ছে Mig 25, Mig 29 এবং সুখোই Su 30. সম্প্রতি তারা সুখোই Su 34 বিমান অর্ডার করেছে৷ রাশিয়ার পর একমাত্র আলজেরিয়াই হবে এই বিমানগুলোর প্রথম ব্যবহারকারী৷ এছাড়াও আলডেরিয়া পঞ্চম প্রজন্মের স্টিল্থ ফাইটার সুখোই Su 57 কেনারও খবর রটেছিল৷ আলজেরিয়ার হাতে রাশিয়ার কুখ্যাত S 400, S 300 এবং চীনে HQ 9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে৷ আলজেরিয়ার হাতে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরী ৮টি শক্তিশালী এ্যাটাক সাবমেরিন রয়েছে৷ এছাড়াও সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং জার্মানির তৈরী ১৩টি ফ্রিগেই এবং ৭টি করভেট জাহাজ আছে৷ আলজেরিয়ার সামরিক বাহিনী নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে আলেেরিয়ার সামরিক বাহিনীর উপর আমাদের চ্যানেলের ভিডিওটি দেখুন৷ বিপুল তেল এবং গ্যাসের রিজার্ভ থাকায় আলজেরিয়া হয়তো ভবিষ্যতে আফ্রিকা এবং আরব বিশ্বের সবথেকে ধনী দেশে পরিণত হবে৷
সৌদি
মুসলিম বিশ্বের মধ্যে সৌদি আরবের সামরিক বাজেট সবথেকে বেশি৷ আমেরিকা এবং চীনের পরে সৌদিআরবই সর্বচ্চ ১শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে সামরিক বাহিনীর পিছনে৷ যার কারনে তাদের কাছে বিপুল সংখ্যক আমেরিকার তৈরী শক্তিশালী M1 Abrams, M60 Patton এবং ফ্রান্সের AMX 30 ট্যাংক রয়েছে৷ বিমান বাহিনীতেও ইউরোফাইটার টাইফুন, F 15 ইগল এবং টর্নোডের মতো অত্যাধুনিক বিমান রয়েছে৷ সৌদি আরবের নৌবাহিনী খুবই দুর্বল৷ মাত্র ৭টি ফ্রিগেইট এবং ৩টি করভেট জাহাজ রয়েছে৷ অথচ গুরুত্বপূর্শ পারস্য সাগর, লোহিত সাগর এবং আরব সাগরজুড়ে সৌদি আরবের প্রভাব থাকা উচিৎ ছিল৷ এছাড়াও ইরান এবং ইয়েমেন ইস্যুতে সৌদি আরবের অবস্থান অধিকাংশ মুসলিমদের কাছে বিতর্কিত৷
পাকি
পাকিস্তান হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের একমাত্র পারমানবিক শক্তিধর দেশ৷ এছাড়াও চীনের সাথে যৌথ উদ্যোগে তারা ট্যাংক এবং বিমান উৎপাদন করে থাকে৷ পাশাপাশি নিজ দেশে উৎপাদিত মিসাইলগুলোও সামরিক অঙ্গনে বেশ আলোচিত৷ এক্টিভ এবং রিজার্ভ মিলে ১২ লাখে উপরে সামরিক সদস্য নিয়ে পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ফোর্স৷ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান ট্যাংকগুলো হচ্ছে আল খালিদ এবং আল জারার৷ দুই ধরনের ট্যাংকই চীন পাকিস্তান যৌথ উদ্যোগে তৈরী৷ বাংলাদেশও আল খালিদ ট্যাংক ব্যবহার করে৷ পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান ফাইটারগুলো হচ্ছে F 16, JF 17, মিরাজ 5 এবং মিরাজ 3. এর মধ্যে JF 17 চীন পাকিস্তান যৌথ প্রযুক্তিতে তৈরী৷ এছড়াও রাশিয়ার Mi 24 এবং আমেরিকার কোবরা এ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে৷ পাকিস্তান নৌবাহিনীতে ফ্রান্স, চীন এবং ইতালির তৈরী ৮টি সাবমেরিন রয়েছে৷ আর ফ্রিগেট ও করভেটগুলো চীন ব্রিটেন এবং তুরস্কের তৈরী৷ পাকিস্তান নিজস্ব প্রযুক্তিতে দুরপাল্লার মিসাইল নির্মান করেছে যেগুলো পারমানবিক অস্ত্র বহন করে৷ তুরস্ক, ইরান, সৌদিআরবসহ সকল প্রভাবশালী মুসলিম দেশগুলোর সাথে পাকিস্তান শক্ত সামরিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখে৷
মিশর
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ২০২০ সালের রেংকিংয়ে মিশর হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের সবথেকে থেকে শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র৷ মিশরের মালিকানায় থাকা সুয়েজখাল বন্ধ করে দিলে গোট পৃথিবীর ব্যবসা বাণিজ্য মুহুর্তেই ধ্বসে পরবে৷ ভৌগলিক কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশটি আমেরিকা রাশিয়া এবং ইউরোপ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র কেনার পাশাপাশি নিজ দেশেও আব্রামস ট্যাংক তৈরী করে৷ প্রায় ৮ লাখ সৈন্য নিয়ে মিশর বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক বহর৷ তাদের সেনাবহিনীতে সাড়ে ১৩শ আমেরিকার M1 Abrams থাকা সত্তেও রাশিয়ার কাছে ৫শ T 90 ট্যাংক অর্ডার করেছে৷ এছাড়াও প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আমেরিকান M60 প্যাটন, রাশিয়ার T 80, T 62, T 55 এবং নিজ দেশেই উৎপাদিত রামেসিস 2 ট্যাংক রয়েছে৷
মিশরের বিমান বাহিনীতে বর্তমানে রাফাল, মিগ 29 এবং F 16 ফাইটার রয়েছে৷ এছাড়াও আরও বিপুল সংখ্যক রাফাল, ইউরোফাইটার টাইফুন, সুখোই Su 35 এবং Mig 35 অর্ডারে আছে৷ এ্যাটাক হেলিকপ্টার হিসেবে রাশিয়ার তৈরী Mi 24, Mi 28, Mi 35, Ka 50, Ka 52 এবং আমেরিকান এ্যাপাচি রয়েছে, সেই সাথে আরও বিপুল সংখ্যক অর্ডারে রয়েছে৷ এখন পর্যন্ত মিশরের নৌবাহিনী মুসলিম বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী নৌবাহিনী৷ মিশরের কাছে ২টি হেলিকপ্টারবাহি যুদ্ধজাহাজ, ৮টি সাবমেরিন এবং ১৪টি ফ্রিগেই আর করভেট রয়েছে৷ প্রাচীন কাল থেকে আর পর্যন্ত সবসময়ই ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকা তিন মহাদেশের কেন্দ্রস্থল মিশর সামরিক অঙ্গনে বড় একটা ফ্যাক্টর৷
ইরান
বর্তমান সামরিক অঙ্গন এবং বিশ্বরাজনীতিতে সবথেকে হট টপিক ইরান৷ কেননা সুপার পাওয়ার আমেরিকার মতো দেশের সাথে সরাসরি যুদ্ধে প্রস্তুত তারা৷ ব্রিটেনের মতো দেশের জাহাজ আটক করার মতো সাহস তাদের বুকে৷ সেই সাথে বিশ্ব তেল বাজারের হৃৎপিন্ড হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি৷ আমেরিকার অর্থনৈতিক নিষেথাজ্ঞা থাকা সত্তেও ইরান বছরে সাড়ে ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক খাতে ব্যয় করে৷ বর্তমানে এক্টিভ এবং রিজার্ভ মিলে প্রায় ১০ লাখ সৈন্য আছে ইরানের হাতে৷ ইরানের প্রধান ট্যাংক হিসেবে নিজ দেশেই উৎপাদিত কারার এবং জুলফিকার ছাড়াও ব্রিটেনের চিফটেইন, আমেরিকার প্যাটন, এবং রাশিয়ার T 72 ট্যাংক রয়েছে৷ ইরানের বিমান বাহিনীতেও আমেরিকান F 14 টমক্যাট এবং রাশিয়ার মিগ 25 ও 29 এর পাশাপাশি নিজ দেশেই উৎপাদিত কাওসার রয়েছে৷ এছাড়াও ইরান চীন রাশিয়ার এবং আমেরিকার সাথে পাল্লা দিয়ে পঞ্চম প্রজন্মের Qaher 313 স্টিল্থ ফাইটার তৈরী করছে৷ ইরানের নৌবাহিনীতেও বিপুল সংখ্যক সাবমেরিনের পাশাপাশি ফ্রিগেই এবং দুর্ধর্ষ মিসাইল বোট রয়েছে৷ ইরানের দাবী এগুলো আমেরিকান নৌবহরকে ডুবিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে৷ তবে ইরানের মুল শক্তির জায়গাটা হচ্ছে তাদের ব্যস্টিক মিসাইল৷ এগুলো নিক্ষেপ করে কয়েক মিনিটেই ইসরায়েলে হামলা করা সম্ভব৷ যা পশ্চিমাদের বড় দুশ্চিন্তার কারন৷ এছাড়াও ইরান পারমানবিক অস্ত্র তৈরী করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে৷ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়া, চীন এবং তুরস্কের সাথে ইরানের সুসম্পর্ক রয়েছে৷
তুরস্ক
দীর্ঘ কয়েকশো বছর ধরে তুরস্ক কেন্দ্রীক উসমানীয় বা অটোমান সম্রাজ্য ছিল মুসলিম বিশ্বের অবিভাবক৷ তুরস্ক আবারও সেই জায়গায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে৷ আমেরিকা কিংবা ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার বিমান ধ্বংস করার সাহস না রাখলেও তুরস্ক সেটা করে দেখিয়েছে৷ মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে তুরস্কই সবথেকে বেশি অস্ত্র উৎপাদন করে৷ তুরস্কের উৎপাদিত আলটাই ট্যাংক বিশ্বজুরেই প্রশংসা কুড়িয়েছে৷ এছাড়াও F 16 বিমানের অন্যতম প্রধান উৎপাদনকারি তুরস্ক৷ পাশাপাশি মিসাইল শিল্পেও তুরস্ক ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে৷ তবে বর্তমানে তুরস্কের শ্রেষ্ঠত্বের জায়গা হচ্ছে, তাদের তৈরী ড্রোনগুলো৷ সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান তুরস্কের হাতে পারমানবিক বোমা না থাকা আক্ষেপ করে, পারমানবিক বোমা তৈরীরও ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ ভৌগলিকভাবেও তুরস্কের বিশাল প্রভাব রয়েছে৷ পূর্ব ইউরোপ এবং রাশিয়ার প্রবেশদ্বার বসফরাস প্রণালী তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে৷ ফলে ব্লাক সী এবং ভুমধ্যসাগরে তুরস্কের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে৷ এছাড়াও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট প্রায় সবগুলো দেশের সাথেই তুরস্কের সুসম্পর্ক রয়েছে৷
প্রিয় দর্শক, সব মিলিয়ে বলা যায় মুসলিম দেশগুলোর সামরিকশক্তি নেহাত কম না৷ কিন্তু মুসলিমদের জন্য সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে ঐক্যের অভাব৷ আলোচিত দেশগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে জাতিগতভাবে মুসলিমরা কতটা শক্তিশালী হবে বলে আপনি মনে করেন?