আমেরিকাযুদ্ধ বিমানরাশিয়াসামরিকশক্তি
Trending

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ৫টি বোমারু বিমান। রাশিয়া বনাম আমেরিকা

দ্রুত শত্রুর স্থাপনায় হামলার জন্য বিমান হচ্ছে সবথেকে কার্যকরী যুদ্ধাস্ত্র৷ আর বিমানের মধ্যে বোম্বার বা বোমারু বিমান হচ্ছে সবথেকে বেশি ধ্বংসাত্মক৷ কেননা এই ধরনের বিমানগুলো হাজার হাজার কেজি বোমা কিংবা পারমানবিক বোমার সাথে বিপুলসংখ্যক গাইডেড মিসাইল, ক্ররুজ মিসাইল ইত্যাদি বহন করতে পারে৷ এছাড়াও এগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা একটানা উড়তে সক্ষম৷ যার কারনে এরকম একটি বিমান দিয়ে বিশাল এলাকাকে মুহুর্তেই মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া সম্ভব৷ এজন্যই পরাশক্তি দেশগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় করে এরকম স্ট্রাটেজিক বোমারু বিমান তৈরী করেছে৷ এমনকি মাত্র কয়েক বছর আগে আমেরিকা রাশিয়া পঞ্চম প্রজন্মের স্টিল্থ ফাইটার বানালেও, আজকে থেকে কয়েক দশক আগেই রাডারে ফাঁকি দেওয়া স্টিল্থ বোম্বার বিমান তৈরী করা হয়েছে৷ আমাদের আজকের ভিডিওটিতে এমনই পাঁচটি বিমানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব, যেগুলোর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা সম্পর্কে জানলে আপনে আঁতকে উঠবেন! এই পাঁচটি বিমানের পাশাপাশি বহুল ব্যবহৃত আরও কিছু বিমানের ব্যপারে খুবই ইন্টারেস্টিং কিছু বিষয় তুলে ধরবো৷ এছাড়াও ভবিষ্যতে আরও কতটা ভয়নক বোমারু বিমান আসবে সে নিয়েও আলোচনা থাকছে৷ টেক দুনিয়া

বোমারু বিমান। টেক দুনিয়া

Tu 22
রাশিয়ার সার্ভিসে থাকা ৩টি স্ট্রাটেজিক বোম্বারের একটি হচ্ছে এই তুপোলেভ Tu 22M বোমারু বিমান৷ তবে সম্প্রতি সময়ে যুদ্ধের মাঠে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত বিমান এটি৷ বিশেষ করে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নেওয়া এবং আইএস জঙ্গিদের স্থপনা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে রাশিয়ার প্রধান অস্ত্রই ছিল এগুলো৷ যার কারনে রাশিয়ান এয়ারস্ট্রাইকের সংবাদগুলোতে এই বিমানের ভিডিও দেখে থাকবেন আপনারা৷ Tech Duniya
এটা মুলত ভেরিয়েল সুইপ উইং লংরেঞ্জ স্ট্রাটেজিক বোম্বার৷ পাশাপাশি ম্যারিটাইম স্ট্রাইক হিসেবে রোল প্লে করতে পারে৷ ভেরিয়েবল সুইপ উইং বলতে সেসব বিমানকেই বুঝায় যেগুলো টেকঅফ করার সময় ডানাগুলো বেশি করে মেলানো থাকে৷ কিন্তু আকাশে দ্রুত গতি উড়ার সময় এদের ডানাগুলো ভাজ হয়ে বডির কাছে চলে আসে৷ কেননা ডানা যত বেশি বড়ি কাছে আসবে, বিমান তত বেশি চিকন শেইপ নিবে৷ আর এরোডায়নামিকের নিয়মানুসারে বাতাসের ঘর্ষন কম হওয়ায় গতি বেশি পাবে৷
এবারে আসি বিমানটি কি ধরনের অস্ত্র বহন করতে পারে সেই বর্ণনায়৷ বিমানটি একসাথে ২৪ হাজার কেজি পর্যন্ত বোমা বহন করতে পারে৷ এর বহনকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩টি Kh 32 ক্রুইজ মিসাইল, যেগুলোর রেঞ্জ ৬০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার৷ পারমানবিক ওয়ারহেডের ১০টি Kh 47 কিনঝাল ক্রুইজ মিসাইল যেগুলোর রেঞ্জ 3000 কিলোমিটার৷ এবং FAB 250 অথবা FAB 1500 বোমা৷
এটা বোমারু বিমান হলেও এর গতি ফাইটার বিমানগুলোর থেকেও বেশি! ঘন্টায় এটা ২৩০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে৷ অর্থাৎ এর গতি মি 29 কিংবা সুখোই ফ্লাংকার বিমানগুলোর থেকেও বেশি! এটা মাটি থেকে সর্বচ্চ ৩০ হাজার ফিট উচু দিয়ে উড়তে পারে৷ সিরিয়া যুদ্ধে তাই ভুমধ্যসাগর কিংবা ইরানের সীমান্তের মধ্যে থেকেই এটা সিরিয়াতে হামলা করতো৷ বিমানটি ৫৪ হাজার কেজি ফুয়েল নিতে পারে৷ যার কারনে এটা একটানা ৭ হাজার কিলোমিটার উড়তে সক্ষম৷ Tech Duniya Bangla
বিমানটি প্রথম তৈরী করা হয় ১৯৬৯ সালে৷ এখন পর্যন্ত প্রায় ৫শ টি বিমান তৈরী করা হয়েছে৷ রাশিয়া এখন পর্যন্ত কারও কাছে বিমানগুলো বিক্রি করেনি৷ এমনকি বিমানগুলো নির্মানে কত খরচ হয় তাও প্রকাশ করেনি৷

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

B 52 Stratofortress
কেমন হয়, একটা বিমান যদি একবার উড়াল দিয়ে অর্ধেক পৃথিবী পার হয়ে গিয়ে বোম্বিং করে? আমাদের তালিকার ৪ নাম্বারে থাকা এই আমেরিকান B 52 Stratofortress বিমামটি তেমনই! কেননা এটা একটানা ১৪ হাজার কিলোমিটার উড়তে পারে! অর্থাৎ টেকঅফের পর পৃথিবীর যেকোন স্থানে গিয়ে হামলা করতে সক্ষম! দানবীয় আকৃতির বিমানটি চালানোর জন্য ৮টি টার্বোফ্যান ইঞ্জিনের দরকার হয়! ২ লাখ ২০ হাজার কেজি ওজন নিয়ে আকাশে উড়তে পারে বিমানটি৷ আর বোমা বহন করতে পারে ৩১ হাজার ৫শ কেজি৷ যার মধ্যে পারমানবিক বোমাও রয়েছে৷ বিমানটি পিছনের অংশেও একটি মেশিনগান আছে৷ ভিয়েতনাম যুদ্ধে এগুলো দিয়ে দুটি মি 21 বিমানকে ধ্বংস করা হয়েছিল৷ Tech Duniya bd
তবে বিমানটির দুর্বলতা হচ্ছে এর গতি৷ ঘন্টায় এটা মাত্র ১০৪৭ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে৷ অর্থাৎ এটা একটি সাবসনিক গতির বিমান৷
১৯৫২ সালে প্রথম আকাশে উড়া বিমানটির নির্মাতা বিখ্যাত বোয়িং কোম্পানি৷ ঐ সময় প্রতিটি বিমান তৈরীতে খরচ হয়েছিল ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ যার বর্তমান বাজার মূল্য দাড়ায় ১০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৮৮২ কোটি বাংলাদেশি টাকা৷ মোট সাড়ে ৭শ এধরনের বিমান তৈরী হয়েছে৷ যাদের অধিকাংশই এখন বিমানের কবরস্থান বা এয়ারক্রাফ্ট বোনইয়ার্ডে পরে আছে৷ আমেরিকান বিমান বাহিনী ছাড়াও গবেষণার কাজে নাসা এই বিমানগুলো ব্যবহার করে৷

B 1 Lancer
ট্রান্সফর্মার্স 2 সিনেমায় আমেরিকান এয়ারফোর্সের এই বোম্বিংয়ের দৃশ্যটি আমরা অনেকেই দেখেছি৷ সেই রকওয়েল B 1 Lancer বিমানটি রয়েছে আমাদের তালিকার তিন নাম্বারে৷ এটা বর্তমানে আমেরিকান বিমান বাহিনীর সবথেকে কার্যকারী বিমান৷ ইরাক যুদ্ধ, আফগানিস্তান যুদ্ধ কিংবা সিরিয়া যুদ্ধে বোম্বিং থেকে শুরু করে উত্তর কোরিয়া এবং চীনকে ভয়ভীতি প্রদর্শনে এই বিমানটিকে ব্যবহার করে আমেরিকা৷ পাইলটরা বিমানটিক ডাকে Bone বলে৷
এটাও একটি ভেরিয়েবল সুইপ উইং এয়ারক্রাফট৷ চারটি টার্বোফ্যান ইঞ্জিনের সাহায্যে বিমানটি ঘন্টায় সর্বচ্চ দেড় হাজার কিলোমিটার গতি তুলতে পারে৷ তবে এর প্রথম ভার্সনটি ঘন্টায় আড়াই হাজার কিলোমিটার গতি তুলতে পারতো৷
প্রায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ কেজি ওজন নিয়ে বিমানটি টেকঅফ করার ক্ষমতা রাখে৷ হার্ড পয়েন্টে অস্ত্র বহন করতে পারে ২৩ হাজার কেজি৷ ১৭ ধরেনের মিসাইল ও বোমা বহন করতে পারে বিমানটি৷ পৃথিবীতে এই বিমানটি সবথেকে বেশি ধরনের অস্ত্র বহন করতে পারে৷ এছাড়াও ইন্টার্নাল ওয়েপন বে তে ৩৪ হাজার কেজি পর্যন্ত বোমা নিতে পারে বিমানটি৷ বিমানটিতে চার ধরনের রাডার ইন্সটল করা আছে৷ বিমানটিতে মোট ৪ জন ক্রু দরকার হয়৷ এরা হলো কমান্ডার, পাইলট, অফেনসিভ সিস্টেম অফিসার এবং ডিফেন্সিভ সিস্টেম অফিসার৷
একবার উড়াল দিয়ে সাড়ে ৯ হাজার কিলোমিটার দূরে গিয়ে বোম্বিং করতে পারে বিমানটি৷ ১৯৭৪ সালে এটাকে প্রথম তৈরী করা হয়৷ বিমানটিকে তৈরী করেছিল রকওয়েল ইন্টারন্যাশনাল৷ পরবর্তিতে রকওয়েলকে বোয়িং কিনে নিয়ে তারাই বিমানটির উৎপাদন এবং রিপেয়ার করা শুরু করে৷ এখন পর্যন্ত ১০৪টি বিমান তৈরী করা হয়েছে৷ ২০১৮ সালে হিসেব মতে প্রতিটি বিমানের মূল্য দাড়ায় ৪১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১২শ ৩০ কোটি বাংলাদেশি টাকা! techduniyabd

Tu 1160
বিপুল সংখ্য রেকর্ডে অধিকার তুপোলেভ Tu 160 বোমারু বিমানটি রয়েছে আমাদের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে৷ রাশিয়ানরা বিমানটিকে বলে বিয়েলি লিবিডজ৷ যার বাংলা অর্থ দাড়ায় সাদা রাজহাঁস৷ ন্যাটো এর নাম দিয়েছে Blackjack. এর রঙ সাদা হওয়া সত্তেও ন্যাটোর এরকম নাম দেওয়ার কারন হচ্ছে, ন্যাটো বোমারু বিমানের কোডনেম B অক্ষর দিয়ে রাখে৷
এটি বিশ্বের সবথেকে বড় বোমারু বিমান৷ তাই এটা বিশ্বের সবথেকে বড় যুদ্ধবিমানও৷ এটাও ভেরিয়েবল সুইপ উইং এয়ারক্রাফট৷ সবথেকে বড় ভেরিয়েবল সুইপ উইং এয়ারক্রাফট৷ এটা বিশ্বের সবথেকে ভারী বিমানও৷ এমনকি এটাই সবথেকে বড় সুপারসনিক বিমান৷ এবার নিশ্চই বুঝেছেন কেন এটাকে অসংখ্য রেকর্ডের অধিকারী বলেছি৷
৪টি ইঞ্জিনের সাহায্যে বিমানটি ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কেজি ওজন নিয়ে আকাশে উড়তে পারে৷ আর বোমা বহন করতে পারে ৪৫ হাজার কেজি! এতো বেশি বোমা পৃথিবীর আর কোন বিমান বহন করতে পারে না৷ এটা ৬টি রাডুগা Kh 55 মিসাইল কিংবা ১২টি AS 16 Kikcback মিসাইল বহন করতে পারে৷ এই ক্রুইজ মিসাইলগুলো পারমানবিক ওয়ারহেড বহন করে থাকে৷
দানবীয় এই বিমানটির গতিও দানবীয়৷ ঘন্টায় এটা ২২০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে৷ মাটি থেকে ৪০ হাজার ফিট উচু দিয়ে উড়তে পারে৷ আর একটানা উড়তে পারে ১২ হাজার কিলোমিটার৷ অর্থাৎ এটাও এবার উড়াল দিলে বিশ্বের যেকোন স্থানে হামলার ক্ষমতা রাখে৷ বিমানটিতে ৪জন ক্রু দরকার হয়৷ এরা হলেন, পাইলট, কো পাইলট, বোম্বাডিয়া এবং ডিফেন্সিভ সিস্টেম অফিসার৷ বিমানটি ১৯৮১ সালে তৈরী করা হলেও সার্ভিসে আসে ১৯৮৭ সালে৷ মাত্র ৩৬টি এধরনের বিমান তৈরী করা হয়েছে৷ এর মধ্যে রাশিয়ার কাছে থাকা ১৭টি বিমান এখনও সার্ভিসে আছে৷
ইউক্রেনের ভাগে পাওয়া ১৯টি মধ্যে ৮টি রাশিয়ার কাছে বিক্রি করেছে৷ একটি বিমান জাদুঘরে রেখেছে৷ বাকিগুলো অর্থের অভাবে ধ্বংস করেছে৷ রাশিয়া নতুন করে এই বিমানের উন্নয়ন এবং উৎপাদন শুরু করেছে৷ বর্তমানে রাশিয়ার বিমান বাহিনী আরও ১০টি নতুন বিমান অর্ডার করেছে৷

B 2 Spirit
তালিকার প্রথম স্থানে আছে লেজেন্ডারি বিমান B 2 Spirit. শুধু বোমারু বিমান হিসেবেই নয়, বরং সমস্ত যুদ্ধ বিমানের জগতেই এর মতো ইউনিক আর কিছুই নেই৷ ৩০ বছর আগের তৈরী এই আমেরিকান বিমানটি মতো কোন কিছুই আজ পর্যন্ত রাশিয়া তৈরী করতে পারেনি৷ এখন পর্যন্ত এটা বিশ্বের সবথেকে দামী বিমান৷ আমরা পঞ্চম প্রজন্মের স্টিল্থ ফাইটার আমেরিকান F 22, রাশিয়ান Su 57 কিংবা চীনের J 20 বিমানের সাথে পরিচিত৷ কিন্তু আমেরিকার এই B 2 বোমারু বিমানটি হচ্ছে স্টিল্থ বোম্বার৷ অর্থাৎ রাডারে ধরা পরে না৷ মানে আমেরিকা আজকে থেকে ৩০ বছর আগেই স্টিল্থ বোম্বার তৈরী করেছে৷ রাডার ফাঁকি দেওয়ার কারনেই বিমানটিকে এরকম অদ্ভুত আকৃতি দেওয়া হয়েছে৷ বিমানটিকে তৈরী করেছে নরথ্রুপ গ্রুম্যান৷ পূর্বেই বলেছি এটা বিশ্বের সবথেকে দামী বিমান৷ একেকটি বিমান তৈরীতে খরচ হয়েছে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! যেখানে বাংলাদেশের সম্পবর্ণ সামরিক বাজেটই ৪.৫ বিলিয়ন ডলার৷ তাও আবার বিমানের এই খরচটা ৮০র দশকে৷ বর্তমান সময়ে হলে খরচটা আরও কয়েকগুণ বেশি হতো৷ একারনেই আমেরিকা প্রথমে ৪২টি বিমান তৈরীর পরিকল্পনা করলেও পরে মাত্র ২১টি বিমান তৈরী করে৷ এর মধ্যে ১টি বিমান 2008 সালে ক্রাশ করে৷techduniyabd

কিন্তু এতো খরচাপাতি করে কি থাকছে বিমানটিতে? এটাকে মূলত পারমানবিক হামলার জন্য তৈরী করা হয়েছিল৷ তবে পারমানবিক বোমা ছাড়াও এটা সাধারন বোমাও বহন করতে পারে৷ সর্বচ্চ ২৩ হাজার কেজি পর্যন্ত বোমা বহন করতে পারে বিমামটি৷ কেবলমাত্র ৫০০ পাউন্ডের Mk 82 বোমাই বহন করতে পারে ৮০টি! স্টিল্থ বিমানটি বোমা মেরে শত্রুর এয়ার ডিফেন্স ধ্বংস করে থাকে৷ বিশেষ করে ১৯৯৯ সালে কসোভো যুদ্ধে সার্বিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করাটা সবাইকে হতবাক করেছিল৷ ঐ যুদ্ধে বিমানগুলো আমেরিকার মিসৌরি রাজ্য থেকে উড়ে অর্ধেক পৃথিবী পার করে সার্বিয়ায় হামলা চালিয়ে আবারও আমেরিকায় ফেরত যেত! যাতে সময় লাগতো ৩০ ঘন্টা! বোম্বিংয়ের এরকম বিরল রেকর্ড পৃথিবীতে আর নেই৷ এছাড়াও ইরাক, আফগানিস্তান এবং লিবিয়া যুদ্ধেও এটি ব্যবহৃত হয়েছে৷

তবে বিমানটির গতি খুব বেশি নয়৷ চারটি টার্বোফ্যান ইঞ্জিনের সাহায্যে ঘন্টায় এটা ১০১০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে৷ তবে মাটি থেকে ৪০ হাজার ফিট উচু দিয়ে উড়ে৷ বিমানটি চালাতে ২জন পাইলট লাগে৷ আমেরিকা ২০৩২ সাল পর্যন্ত বিমানগুলোকে সার্ভিসে রাখার চিন্তা করছে৷

এই বিমানগুলো সেরা হলেও বর্তমানে আকাশে সবথেকে বেশি দেখা যায় মান্ধাতার আমলের দুই বিমান রাশিয়ার তুপোলেভ Tu 95 Bear এবং চীনের Xian H 6 বোম্বার৷ এর মধ্যে রাশিয়ান Tu 95 প্রায়ই আমেরিকা ও ব্রিটেনে সীমান্তের কাছে চলে যায়৷
তবে ভবিষ্যতের জন্য আমেরিকা রাশিয়া এবং চীন তিন দেশই আরও শক্তিশালী বোম্বার তৈরী করছে৷ আমেরিকা তৈরী করছে নরথ্রুপ গ্রুম্যান B 21 Raider, যা ২০২৫ সালে সার্ভিসে আসবে৷ রাশিয়া তৈরী করছে তুপোলেভ PAK DA যা ২০২৭ সালে সার্ভিসে আসবে৷ এদিকে চীন তৈরী করছে Xian H 20, যা যেকোন সময় প্রকাশ্যে আসতে পারে৷ প্রিয় দর্শক, ভবিষ্যতের এই বোম্বারগুলো আরও কতটা ভয়ংকর হবে বলে আপনি মনে করেন? আপনার মতামত কমেন্টে জানান৷

Tags
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close